নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী বলেছেন, চা শ্রমিকেরা রোহিঙ্গাদের চেয়েও অবহেলিত। তাদের জন্য নূন্যতম দায়িত্ববোধ দেখাতেও ব্যর্থ সরকারের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
২৩ আগস্ট বিকেল ৩ টায় বিডব্লিউএফ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘২ লক্ষ চা শ্রমিকের রোহিঙ্গাহেয় জীবন থেকে উত্তরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
এসময় মোমিন মেহেদী আরো বলেন, প্রায় ১১ লক্ষ রোহিঙ্গাকে দেশে এনে খাদ্য দিতে পারলেও আমাদের দেশে শিল্প-অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখে আসা চা শ্রমিকদের জন্য যেন কিছুই করার নেই মানবতার মা খ্যাত উন্নয়নের রোল মডেলের জননী শেখ হাসিনার। তিনি দেশের কল্যাণ চাইলেও তার চারপাশে ষড়যন্ত্রকারী খন্দকার মোস্তাকদের প্রেতাত্মারা প্রতিনিয়ত দেশকে ধ্বংসের জন্য উঠেপরে লেগে আছে।
মোমিন মেহেদী এসময় আরো উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের মোট চা বাগানের সংখ্যা ১৬৮টি। স্থায়ী চা শ্রমিকের সংখ্যা ১ লাখ ৫৫ হাজার। অস্থায়ী চা শ্রমিকের সংখ্যা ৫৬ হাজার ৪৩৭ জন ও চা-জনগোষ্ঠীর মানুষের সংখ্যা ৫ লাখ ৫০ হাজার জন।
প্রেসিডিয়াম মেম্বার অধ্যাপক শুভঙ্কর দেবনাথের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিপুন মিস্ত্রী, জাতীয় ধর্মধারার আহবায়ক কবি মানিক চক্রবর্তী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এনডিবির যুগ্ম আহবায়ক রুবেল আকন্দ, হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেয়ার কারণে বিশে^ এক ব্যারেল জালানি তেলের দাম মাত্র ৯০ ডলার অর্থাৎ প্রতি লিটার তেল মাত্র ৬৮ টাকা হলেও বাংলাদেশে ২ গুণ বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। এই পরিস্খিতির জন্য দায়ি আমাদের এমপি-মন্ত্রী-আমলারা; যারা দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা দেশের বাইরে পাচার করছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।